শুরু হোক বই পড়া




ছোটবেলায় আমরা অনেক গল্প পড়তাম। গল্পের বই, উপন্যাসের বই। এখন তো বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ আটকে রাখে। তাতে কী হয়? আমাদের কল্পনার জগতটা ছোট হয়ে আসে। ধরুন, একটা গল্প পড়ছেন, সেখানে লেখা আছে – "শাওন গভীর রাতের অন্ধকারে এক পুরোনো বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।" আপনি তখন আপনার মগজের ভেতরে একটা ছবি তৈরি করবেন। বাড়িটা কেমন, রাতের অন্ধকারটা কেমন, শাওনের চেহারা কেমন – সব আপনি নিজেই তৈরি করে নেবেন। আপনার মগজ তখন একজন চিত্রকর, একজন পরিচালক, একজন সেট ডিজাইনারের কাজ একসঙ্গে করছে। কিন্তু যখন আপনি একটা ভিডিও দেখেন, তখন কিন্তু এই কাজটা আপনার মগজকে করতে হয় না। সব ছবি রেডিমেড চলে আসে। এতে মগজের পরিশ্রম কমে যায়। সে আরাম পেয়ে যায়। আর আরাম পাওয়া মানেই হলো, অলস হয়ে যাওয়া। তাই বুদ্ধি বাড়ানোর আরেকটি সহজ কৌশল হলো, পুরনো দিনের সেই অভ্যাসটা ফিরিয়ে আনা – বই পড়া। বিশেষ করে, যে বইগুলো আপনাকে ভাবতে শেখাবে, কল্পনার জগতে ডুবিয়ে দেবে। গল্পের বই, কবিতার বই, এমনকি নন-ফিকশন বইও হতে পারে। মগজকে চ্যালেঞ্জ জানান, তাকে নতুন ছবি আঁকতে বলুন, নতুন চরিত্র তৈরি করতে বলুন। দেখবেন, তার ভেতরের সৃজনশীলতা ফিরে আসছে। আর সৃজনশীলতা আর বুদ্ধি – তারা ভাই-বোন। একজন ছাড়া অন্যজন অসম্পূর্ণ।

Previous Post Next Post