হঠাৎ করেই কালো মেঘগুলো কোথা থেকে জানি হুড়মুড় করে চলে এলো। মিনিটখানেকের মধ্যে পুরো আকাশ কালো। প্রথমে দু-এক ফোঁটা। পিচের গরম রাস্তার ওপর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধোঁয়া উঠছিল। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। তারপর আর সময় দিল না। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। ঝিরিঝিরি নয়, একেবারে যেন আকাশ ভেঙে জল। টিনের চালের ওপর বৃষ্টির শব্দে মনে হলো বুঝি হাজারটা ড্রাম একসঙ্গে বাজছে। কাঁচা মাটির ওপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা মায়াভরা গন্ধ তৈরি হলো – ভেজা মাটির গন্ধ, মাটি যেন তার সব চাপা দীর্ঘশ্বাস এক লহমায় ছেড়ে দিল। এই গন্ধটা আমার ভীষণ প্রিয়, কেমন মন খারাপ করিয়ে দেয়।
বৃষ্টি যখন মুষলধারে পড়ছে, আশেপাশের সবকিছু যখন ঝাপসা, টিনের চালে ঝমঝম আওয়াজে কান পাতা দায়, ঠিক তখন একটা জিনিস পড়লো আমার ঠিক সামনে, পিচের রাস্তার মাঝখানে। একটা মাঝারি সাইজের আস্ত তেলাপিয়া মাছ! বিশ্বাস হবে না, কিন্তু সত্যি। মাছটা পড়েই ছটফট করতে শুরু করলো। রূপালী আঁশগুলো বৃষ্টির জলে চকচক করছে। আমি হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছি।
চায়ের দোকানের বেঞ্চিতে ফজলু মিয়া বসা ছিল। সেও তার চশমা কপালে তুলে, মুখ হাঁ করে মাছটার দিকে তাকিয়ে আছে। তার হাতে ধরা অর্ধভুক্ত রুটিটা কখন যে মাটিচাপা হয়ে গেল, সেদিকে তার খেয়ালই নেই। বৃষ্টিতে কি মাছ পড়ে? তাও আকাশ থেকে? তেলাপিয়া! মাছটা এখনো জীবন্ত। লাফাচ্ছে, নিজেকে বাঁচানোর এক শেষ চেষ্টা। বৃষ্টির শীতল জলের ধারা আমার হাত-পা ছুঁয়ে যাচ্ছে, শরীরটা কেমন শিরশির করছে। চারপাশের সব কোলাহল, টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ – সবকিছু ছাপিয়ে আমার কানে বাজছে মাছটার শেষ ছটফটানির শব্দ।
আমি মনে মনে ভাবলাম, আচ্ছা, এই যে পৃথিবী, এর কি কোনো নিয়ম নেই? যখন যা খুশি তাই হবে? কোথা থেকে এই মাছটা এল? কোন পুকুর বা জলাশয় থেকে উড়াল দিয়ে এমন এক বৃষ্টির দিনে পিচের রাস্তার মাঝখানে এসে পড়লো? নাকি এটা অন্য কিছুর ইঙ্গিত? সবকিছু কেমন এলোমেলো, তাই না? মানুষের জীবনটাও কি এমন এক এলোমেলো মাছের মতো? কোথা থেকে আসবে, কোথায় গিয়ে পড়বে, কেউ জানে না।
- - -
মাছটা তখনও নড়ছে। পিচের কালো রাস্তায় রূপালি রঙের এই ছটফটানি, বৃষ্টির জলের ছিটায় আরও জীবন্ত লাগছে। রূপার টুকরোর মতো আঁশগুলো বৃষ্টির জলে চকচক করছে, যেন ছোট্ট একটা জীবন্ত অলংকার। ফজলু মিয়া কিছুক্ষণ পর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তার কপাল থেকে চশমাটা নিচে নেমে এসেছে নাকের ডগায়। ভেজা রুটিটা কখন যে তার হাত থেকে খসে পড়েছে, সেদিকে তার খেয়াল নেই। কাঁপানো গলায় সে বলল, "হায় আল্লাহ! এইডা কী দেখলাম ভাইজান? আসমান থাইকা মাছ পড়ে! কাইলকা জানি কী দেখব?"
ফজলু মিয়ার প্রশ্নটা আমার কানে বাজল। সত্যিই তো! কালকে কী দেখব? দুনিয়াটা কি দিনে দিনে আরও আজব হয়ে যাচ্ছে? নাকি দুনিয়াটা বরাবরই আজব ছিল, শুধু আমরাই চোখ বন্ধ করে ছিলাম? আমরা একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মের পৃথিবীতে বাস করতে চাই। সবকিছুর একটা লজিক থাকবে, একটা কারণ থাকবে। কিন্তু যখন সেই লজিক ভেঙে যায়, তখন আমরা কী করি? আমরা ভয় পাই। অনিশ্চয়তা আমাদের ভেতরটা ঝাঁকিয়ে তোলে। আমাদের মনে হয়, এই চেনা পৃথিবীটা বুঝি এক লহমায় অচেনা হয়ে গেল।
মাছটার ছটফটানি ধীরে ধীরে কমে আসছে। প্রথমে যেমন লাফিয়ে উঠছিল, এখন শুধু শরীরটা অল্প অল্প কাঁপছে। বৃষ্টির জল মাছের আঁশের ফাঁকে জমেছে, ছোট ছোট জলের বিন্দুগুলো মুক্তোর মতো ঝিকমিক করছে। চোখের মণি কেমন ঘোলাটে হয়ে আসছে, যেন জীবনের আলোটা নিভে যাওয়ার আগে শেষ বারের মতো ক্ষীণ হয়ে জ্বলছে। মৃত্যু কি এতই কাছে? কিছুক্ষণ আগেও হয়তো এই মাছটা কোনো এক পুকুরের শীতল জলে আনন্দে সাঁতরাচ্ছিল, ছোট ছোট পোকা ধরছিল, তার জীবনের নিজস্ব একটা ছন্দ ছিল। আর এখন? এই পিচের রাস্তায়, বৃষ্টির জলের মধ্যে, সে তার জীবনের শেষ অধ্যায় লিখছে। এই হঠাৎ করে আসা মৃত্যু, এর কি কোনো অর্থ আছে? নাকি জীবন শুধুই এক অনিশ্চিত যাত্রার নাম?
ফজলু মিয়া উবু হয়ে বসল। তার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। সে হয়তো ভাবছে মাছটা কি তুলে নেবে? কিন্তু সে সাহস পেল না। তার চোখে ভয়। অজানা কিছুর ভয়। সে হয়তো ভাবছে, এই মাছটা ধরলে কোনো বিপদ হবে না তো? এটা কি কোনো শয়তানের কাজ, নাকি খোদার কুদরত? গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর মনে এই ধরনের প্রশ্নগুলো খুব সহজে বাসা বাঁধে। এই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ফজলু মিয়ার হাত-পা কেমন অসাড় হয়ে গেল। সে শুধু তাকিয়ে রইল, আর আমি তার পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে বৃষ্টির শীতল ছোঁয়া অনুভব করছিলাম।
আমি মাছটার দিকেই তাকিয়ে রইলাম। তার জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানের এই ক্ষণটা আমার কাছে কেমন রহস্যময় মনে হলো। একটা ছোট্ট প্রাণ, যার কোনো দোষ নেই, হঠাৎ করেই এক অদ্ভুত উপায়ে তার চেনা জগৎ থেকে ছিটকে পড়েছে। আমি কি করব? কিছু করা উচিত আমার? নাকি প্রকৃতিকে তার কাজ করতে দেব? এই প্রশ্নটা মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, ঠিক যেমন বৃষ্টির জল ঘুরপাক খাচ্ছিল পিচের রাস্তার ছোট ছোট গর্তে, একটা অস্পষ্ট ঘূর্ণিপাক তৈরি করে। দূর থেকে ভেসে আসছিল মসজিদের আযানের সুর, যেন প্রকৃতির এই অদ্ভুত নাটককে আরও মায়াবী করে তুলছে।
- - -
আযানের সুরটা বাতাসে ভেসে আসছে। বৃষ্টির শব্দে চাপা পড়েও কেমন এক অদ্ভুত শান্তি নিয়ে আসছে। এই শান্তির মাঝে মাছটার মরণাপন্ন ছটফটানি আরও বেশি স্পষ্ট মনে হচ্ছে। মাছটা আর নড়ছে না। শুধু তার কানসার ঢাকনাটা সামান্য নড়ছে, যেন শেষ বারের মতো শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে। রূপালি রঙটা বৃষ্টির জলে ধুয়ে কেমন নিষ্প্রাণ দেখাচ্ছে। ফজলু মিয়া আর উবু হয়ে নেই। সে আবার তার বেঞ্চিতে গিয়ে বসেছে, কিন্তু তার চোখ এখনো মাছটার দিকে। তার হাতে ধরা বিড়িটা নিভে গেছে, ধোঁয়া নেই। শুধু তার ঠোঁট কেমন বিড়বিড় করছে, হয়তো কোনো দোয়া পড়ছে, বা হয়তো নিজের অজান্তেই কিছু কথা বলছে। এই মানুষগুলো এমনই, যেকোনো অস্বাভাবিক ঘটনায় তারা সৃষ্টিকর্তার দিকে তাকায়।
আমি এগিয়ে গেলাম। ঠান্ডা পিচ রাস্তা আমার জুতার তলা দিয়ে কেমন একটা অদ্ভুত স্পর্শ দিচ্ছিল। ভেজা ঘাস, ভেজা মাটি – সবকিছুর একটা নিজস্ব ঠান্ডা। মাছটার ঠিক সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বৃষ্টির জল আমার শার্টের হাতা বেয়ে নেমে আসছে, কনুই পর্যন্ত ঠান্ডা। হাতটা এগিয়ে নিয়ে মাছটাকে ছুঁয়ে দেখলাম। একদম শীতল, প্রাণহীন। এক মুহূর্ত আগেও যেখানে প্রাণের স্পন্দন ছিল, এখন সেখানে শুধু একটা ঠান্ডা, নরম দেহ। এই যে জীবন আর মৃত্যুর মাঝখানে একটা পাতলা পর্দা, সেটা এক লহমায় কীভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়! একটা প্রাণ, যেটা কিছুক্ষণ আগেও নিজের মতো করে বাঁচছিল, এখন সেটা শুধুই একটা মাংসপিণ্ড।
আমার মনে পড়ল, ছোটবেলায় গ্রামের পুকুরে সাঁতার কাটতে গিয়ে একটা ছোট মাছ ধরেছিলাম। ছটফট করছিল খুব। আমি ভয়ে ছেড়ে দিয়েছিলাম। পুকুরের ঠান্ডা জলে আবার সেই মাছটা কীভাবে সাঁতার কেটে হারিয়ে গেল, সে দৃশ্যটা আজও আমার মনে আছে। কিন্তু আজকের এই মাছটা আর পুকুরে ফিরতে পারবে না। প্রকৃতির এই নিষ্ঠুরতা কেমন যেন বুকে এসে বাজে।
ফজলু মিয়া আমাকে মাছটা ছুঁতে দেখে চমকে উঠল, "ভাইজান, কী করেন! এইডা কি ছোঁন ঠিক হইব?"
আমি তার দিকে তাকিয়ে হাসলাম। বললাম, "মরলে সব মাছই এক, ফজলু মিয়া। আর বেঁচে থাকলে সব মাছেরই একটা আলাদা গল্প থাকে।"
ফজলু মিয়া আমার কথা বুঝল কিনা জানি না। তবে তার চোখে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেখলাম। সে হয়তো ভাবছে, এই শহর থেকে আসা মানুষগুলো এত অদ্ভুত কথা বলে কেন?
আমি আলতো করে মাছটাকে তুলে নিলাম। হাতটা ভিজে গেল, কিন্তু কোনো খারাপ লাগা ছিল না। মাছটার শরীর থেকে বৃষ্টির জল টুপটুপ করে ঝরে পড়ছে। এটা একটা তেলাপিয়া। খুব সাধারণ একটা মাছ। কিন্তু এই সাধারণ মাছটার এমন অসাধারণ মৃত্যু আমাকে ভাবিয়ে তুলল। জীবন কত রহস্যময়! কত অনিশ্চিত! আমরা নিজেদের জীবনকে কত নিয়মের মধ্যে বাঁধতে চাই। সময় মতো ঘুম থেকে ওঠা, কাজ করা, খাওয়া, ঘুমানো। অথচ প্রকৃতির একটা ছোট্ট খেয়ালে সব নিয়ম ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। একটা মাছ, আকাশ থেকে পড়া, এ কি শুধু একটা ঘটনা? নাকি প্রকৃতির একটা ইশারা? একটা বার্তা? কে জানে! হয়তো এই পৃথিবীতে সত্যিই এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা আমাদের যুক্তি বা বিজ্ঞানের সব হিসাবকে উল্টে দেয়। মাছটা হাতে নিয়ে আমি রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা মাটির স্তূপের দিকে এগিয়ে গেলাম, যেন তার জন্য একটা ছোট্ট আশ্রয় তৈরি করতে।
- - -
মাছটা হাতে নিয়ে আমি রাস্তার পাশে ছোট্ট একটা মাটির স্তূপের দিকে এগিয়ে গেলাম। বৃষ্টির জলে মাটিগুলো ভিজে নরম হয়ে আছে। নরম মাটিতে হাত ঢোকাতে খুব বেশি কষ্ট হলো না। হাতের আঙুলগুলো ঠান্ডা মাটির স্পর্শ পেল, কেমন একটা শীতল, ভেজা, আর মাটির নিজস্ব গন্ধ আমার নাকে এসে লাগল। মনে হলো যেন মাটি নিজেই নিঃশ্বাস নিচ্ছে, জীবনের এক আদিম গন্ধ। আমি সাবধানে একটা ছোট গর্ত করলাম। মাছটা রাখলাম তার ভেতরে। তেলাপিয়া মাছের মরণোন্মুখ ছটফটানির পর তার নিশ্চল দেহটা কেমন অদ্ভুতভাবে শান্ত দেখাচ্ছিল। রূপালী আঁশগুলো এখন আর বৃষ্টির জলে ঝলমল করছে না। তাদের চিকচিক ভাবটা ম্লান হয়ে গেছে, যেন জীবনের রঙ ফিকে হয়ে গেছে।
ফজলু মিয়া দূর থেকে দেখছিল আমার এই কাজ। তার চোখে এখনো অবিশ্বাস আর কিছুটা ভয় মেশানো। কিন্তু সে আর কোনো কথা বলল না। আমি ধীরে ধীরে মাছটাকে মাটিচাপা দিলাম। মাটির একটা স্তর পাতলা করে তার ওপর দিয়ে দিলাম, যেন সে পৃথিবীর বুকেই শান্তিতে থাকতে পারে। এই ছোট্ট কাজটা করতে গিয়ে আমার মনটা কেমন হালকা হয়ে গেল। একটা অজানা শান্তি যেন আমাকে ঘিরে ধরল। হয়তো এটা শুধু একটা মাছ ছিল, কিন্তু তার এমন অদ্ভুত মৃত্যু আমাকে কেমন যেন এক অন্যরকম অনুভূতি দিয়েছিল।
আমি যখন মাটিচাপা দিচ্ছিলাম, তখন বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমে এলো। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তখনও পড়ছে, তবে টিনের চালের আওয়াজ আর সেই ড্রামের মতো জোর নেই। ভেজা মাটির উপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ার শব্দটা কেমন মৃদু আর শ্রুতিমধুর মনে হলো। দূর থেকে ভেসে আসা আজানের সুরটাও যেন আরও স্পষ্ট হয়ে কানে বাজছে। এই নীরবতার মধ্যে আমার মনে হলো, আমরা কত ছোট ছোট বিষয়কে জীবনে অগ্রাহ্য করি। একটা মাছ, একটা বৃষ্টি, একটা ভেজা মাটির গন্ধ – এগুলোর মধ্যে যে কত গভীর জীবন দর্শন লুকিয়ে আছে, তা আমরা কখনো খেয়াল করি না। আমরা শুধু বড় বড় ঘটনার পেছনে ছুটি। অথচ জীবন তার সমস্ত সৌন্দর্য আর রহস্য নিয়ে আমাদের আশেপাশেই খেলা করে।
মাছটাকে মাটিচাপা দিয়ে আমি উঠে দাঁড়ালাম। হাতের আঙুলে এখনো লেগে আছে মাটির গন্ধ। এই গন্ধটা যেন আমার মস্তিষ্কে গেঁথে গেল। আমি জানি না, এই ঘটনাটার কোনো মানে ছিল কিনা। হয়তো ছিল না। হয়তো এটা প্রকৃতির এক সাধারণ খেয়াল মাত্র। কিন্তু আমার মনে হলো, এটা আমাকে কিছু শিখিয়ে গেল। শেখালো যে, জীবন কত ভঙ্গুর, কত অনিশ্চিত। আর মৃত্যু কত স্বাভাবিক, কত অনিবার্য। এই ছোট্ট ঘটনাটা আমাকে একটা অন্যরকম গভীরতা দিল। আমার ভেতরের সেই অস্থির মনটা কেমন শান্ত হয়ে এলো।
আমি ফজলু মিয়ার দিকে তাকালাম। সে তখনও তার বিড়ি ধরাতে পারেনি। তার চোখগুলো কেমন বিষণ্ণ দেখাচ্ছিল। হয়তো সেও নিজের অজান্তেই এই ছোট্ট ঘটনায় জীবনের কোনো এক গভীর অর্থ খুঁজে পেয়েছে। এই চৈত্র মাসের শেষবেলার বৃষ্টি, এই হঠাৎ আকাশ থেকে পড়া মাছ, এই ভেজা মাটির গন্ধ – সবকিছু মিলে একটা অদ্ভুত স্মৃতি হয়ে আমার মনে গেঁথে রইল। মনে হলো, পৃথিবীটা যেন তার নিজের গল্প বলছে, আর আমরা সেই গল্পের ছোট্ট এক চরিত্র মাত্র। আর এই গল্পগুলোই আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে, আমাদের চিন্তাগুলোকে নতুন পথ দেখায়।
