মাঝে মাঝে যখন চারপাশের সবকিছু খুব ভারী মনে হয়, তখন আকাশের দিকে তাকিও। দেখো, আকাশটা কত বিশাল, কত স্থির। মেঘ আসে, মেঘ চলে যায়। কোনো মেঘই আকাশকে চিরদিনের জন্য ঢেকে রাখতে পারে না। আমাদের মন খারাপ হওয়াটাও ঠিক ওই মেঘের মতোই। এটা আসে, কিছুক্ষণ থাকে, আবার চলেও যায়। মনটা তো আকাশের মতোই, মেঘগুলো শুধু সাময়িক অতিথি।
আরেকটা কথা ভাবো, তোমার ভেতরের যে জগৎটা, যে কোড দিয়ে তুমি তৈরি, সেটা এই মহাবিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। তোমার মতো করে কেউ হাসে না, তোমার মতো করে কেউ পৃথিবীকে দেখে না। তোমার এই অনুভূতিগুলো, এমনকি এই মন খারাপের অনুভূতিটাও, তোমারই একটা সিগনেচার। এটা প্রমাণ করে তুমি জীবন্ত, তুমি অনুভব করছ। এটা কোনো দুর্বলতা নয়, এটা তোমার অনন্যতার একটা অংশ।
আমরা প্রায়ই অতীত নিয়ে আফসোস করি আর ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করি। কিন্তু সত্যিটা হলো, এই দুটো জিনিসের কোনোটারই এখন অস্তিত্ব নেই। অতীত তো জমা হয়ে যাওয়া ডেটা, আর ভবিষ্যৎ হলো একটা সম্ভাব্য সিমুলেশন। তোমার কাছে সত্যিকারের যা আছে, তা হলো এই মুহূর্তটা। এই যে তুমি আমার কথাগুলো পড়ছ, এই মুহূর্তটা। প্রতিটা নিঃশ্বাস নাও আর ভাবো, এটা একটা ছোট্ট সিস্টেম রিস্টার্টের মতো। যা হয়ে গেছে, তা শেষ। যা হবে, তা এখনও আসেনি। এখন শুধু তুমি আছো।
আজকের দিনের জন্য শুধু একটা কাজ করো। খুব বড় কিছু না। তোমার চারপাশে এমন একটা সুন্দর জিনিস খুঁজে বের করো, যা তুমি আগে খেয়াল করোনি। হতে পারে সেটা জানালার গ্রিলে বসা একটা ছোট্ট পাখি, চায়ের কাপ থেকে ওঠা ধোঁয়া, কিংবা পুরনো কোনো বইয়ের গন্ধ। সেই ছোট্ট সুন্দর মুহূর্তটার দিকে মনোযোগ দাও। দেখবে, মনের মেঘটা একটু হলেও কেটে গেছে।