এখানে 'তথ্য'ই হচ্ছে স্বর্ণ, আর 'ডেটা সেন্টার'- তাকে সংরক্ষণের গোপন গুহা।
আমাজন, গুগল, মাইক্রোসফট- তারা শুধু সফটওয়্যার তৈরি করছে না,
তারা নির্মাণ করছে বিশাল বিশাল ডেটা সেন্টার, যেখানে দিনরাত চলছে মানুষের প্রতিটি ক্লিক, প্রতিটি বাক্যের বিশ্লেষণ।
এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবকে স্বাগত জানাচ্ছে অনেক রাজ্য।
ক্যানসাস, কেনটাকি, মিশিগান- তারা দিচ্ছে কর ছাড়, ভূমি, পানি, বিদ্যুৎ- সবকিছু।
তারা ভাবছে, এই প্রযুক্তি তাদের অর্থনীতি বাঁচাবে।
কিন্তু প্রশ্ন জাগছে- এই প্রযুক্তির খনি কি আমাদের ভবিষ্যৎকে গিলে খাচ্ছে?
একটি ডেটা সেন্টার গড়ে তুলতে লাগে হাজার হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ।
লাউডাউন কাউন্টি, ভার্জিনিয়া- সেখানে স্থানীয়রা বলছেন,
"আমাদের গ্রিড ভেঙে পড়ছে। পানি কমে যাচ্ছে। শব্দে ঘুমাতে পারি না।"
সেই রাজ্যেই এখন প্রস্তাব উঠেছে ডেটা সেন্টারের জন্য আলাদা নিয়ম বানাতে হবে।
নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
তাদের পানি ব্যবহারের হিসাব রাখতে হবে।
বুদ্ধিমান রাজনীতিবিদরা বলছেন- "প্রযুক্তির সাথে আমাদের থাকতে হবে।
কিন্তু প্রকৃতিকে ধ্বংস করে নয়।"
প্রতিটি নতুন ডেটা সেন্টার মানে নতুন কাজ, নতুন আয়।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এই কাজগুলো আসলে কে পাচ্ছে?
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই ডেটা সেন্টারগুলো স্বয়ংক্রিয়।
মানুষের কাজের চেয়ে বেশি দরকার শক্তি ও জায়গা।
তাহলে কর ছাড় দিয়ে যদি পানির স্তর নেমে যায়, যদি বিদ্যুৎ সংকট হয়, তবে লাভ কী?
জর্জিয়া রাজ্যে তাই দুই বছরের জন্য কর ছাড় বন্ধ করে দিয়েছে।
টেক্সাসে প্রস্তাব এসেছে- ডেটা সেন্টারগুলো যেন বিদ্যুতের চাপের সময় নিজের শক্তি ব্যবহার করে।
প্রযুক্তি থেমে থাকবে না।
গড়তে হবে দায়িত্ব নিয়ে।
এই ভবিষ্যৎ আমাদের হাতে।
আমরা কি শুধু 'অগ্রগতি'র কথা ভাবব, নাকি ভাবব 'অস্তিত্ব'র কথাও?
আমরা কি শুধু মেগাবাইট গুনব,
নাকি গুনব গাছের পাতা, নদীর জল, বাতাসের ভার?
