ইন্ট্রোভার্টদের ভেতরকার যুদ্ধ


চুপচাপ থাকাটা সবসময় শান্তির পরিচয় না।

অনেক সময়, এই নীরবতার ভেতরেই চলতে থাকে একটা অবর্ণনীয় যুদ্ধ।

একজন ইন্ট্রোভার্ট মানুষ, বাইরের জগত থেকে অনেকটাই দূরে থাকে- তবে নিজের ভিতরের জগতে সে অবিরাম কথা বলে।

নিজের চিন্তার সঙ্গে, আত্মজিজ্ঞাসার সঙ্গে, কখনো নিজেকে প্রশ্ন করে, আবার কখনো উত্তর খোঁজে।

এই মানুষগুলো হাসে কম, তবু সবকিছু গভীরভাবে অনুভব করে।

তাদের হৃদয়ে অনেক কথা জমে থাকে, যা মুখ দিয়ে বলা হয়ে ওঠে না।

তারা নিজেকে বোঝাতে চায়, নিজেকে ঠিকঠাক ভালোবাসতে চায়, তবু নিজেকেই মাঝে মাঝে বোঝা মনে হয়।

এই যে যুদ্ধ- নিজেকে প্রকাশ করা vs নিজেকে রক্ষা করা- এই দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে।

চারপাশে সবাই বলতে থাকে, "আরো মিশুক হও", "তোমার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসো"।

কিন্তু তারা বোঝে না, ভেতরে থাকার মানেই দুর্বলতা না।

অনেক সময়, একজন মানুষ যখন চুপ থাকে, সে আসলে গভীরভাবে অনুভব করে।

সে কথা কম বলে কারণ সে প্রতিটি শব্দকে মূল্য দেয়।

সে সবার সাথে মিশে না কারণ সে সম্পর্কের গভীরতা খোঁজে, সংখ্যা নয়।

ইন্ট্রোভার্টদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ- নিজের মত থাকতে চাওয়া, তবুও সমাজের চাপে বদলে যেতে বাধ্য হওয়া।

তাদের হৃদয়ের কণ্ঠস্বর চাপা পড়ে যায় ভিড়ের কোলাহলে।

তবু তারা লড়ে যায়- প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে।

এই লড়াইটা নিরব, কিন্তু খুবই বাস্তব।

তাদের নীরবতা যেন আল্লাহর সাথে একান্ত সংলাপ।

তাদের চোখে যেন অদৃশ্য এক জগতের প্রতিচ্ছবি।

তারা হয়তো বেশি বলে না, তবে বেশি বোঝে।

তারা হয়তো চোখের সামনে নেই, তবে দোয়ায় থাকে।

তাদের যুদ্ধ কেউ দেখে না, তবে আল্লাহ দেখেন।

আর সেই জানাই তাদের জন্য যথেষ্ট।

 

Previous Post Next Post